ঠাকুরগাঁওয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর এক সদস্য ও তার পরিবারের উপর অর্তকিত সন্ত্রাসী হামলা করার ঘটনা ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন সাবেক সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য শাহজাহান আলী, তার ছোট ভাই ইঞ্জিনিয়ার মনির হোসেন, আলমান ঈদু ও তার বাবা নুরুল ইসলাম।

বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন শাহজাহান আলী। হামলার পরে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্তরা, এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পরিবারটি এমনটি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।

ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ফিডমিল পাড়া গ্রামে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলা নং ০২ ও স্থানীয়দের দেওয়া সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে সালন্দর ফিডমিল গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের নেপিয়ার ঘাস চাষকৃত জমিতে প্রতিবেশী ফজলুর রহমানের ছেলে মোস্তফার কয়েকটি ছাগল অবাধ বিচরণ করে চাষকৃত ঘাস নষ্ট করে। পরবর্তীতে ছাগল গুলো নুরুল ইসলামের ছেলে মনির হোসেন বাসায় নিয়ে আসলে অভিযুক্তদের বলতে গিয়ে উল্টো গালিগালাজ ও মারধর করে। পরে একইদিনে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার কিছুক্ষুণ পরে ফজলুর রহমানের ছেলে মোস্তফা ও ফারুক এবং একই গ্রামের মজিরত এর ছেলে লুৎফর রহমান, জিয়ারুল। বাবুল ইসলামের ছেলে হানিফ, মোস্তফার স্ত্রী সালমা দেশীয় লাঠি ও লোহার রোড দিয়ে নুরুল ইসলামের বড় ছেলে সাবেক সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য শাহজাহান আলী ও ছোট ছেলে মনির হোসেন উপর অর্তকিত হামলা চালায় ও মারধর করে । এতে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা শাহজাহান আলী ও মনিরকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করে। বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন শাহজাহান আলী।

ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলাম জানান, মোস্তফা এই এলাকার নামধারী সন্ত্রাসী। তার নামে থানায় মামলা আছে। ইতিপূর্বে আমাদের উপর ছোটখাটো বিষয় নিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে আসতেছিলেন। গত ১ তারিখে তার ছাগল আমাদের ফসল নষ্ট করেছে এ বিষয়ে কিছু বলতে গিয়ে উল্টো সন্ত্রাসী বাহিনী ভাড়া করে আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ বিচার চাচ্ছি এবং অতিবিলম্বে যেন আসামিদের আটক করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হয়।

আহত সেনাবাহিনীর সদস্য শাহজাহান আলীর ছোট ভাই ইকবাল জানান, আসামিরা মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। আমরা পরিবার নিয়ে চরম আতংকের মধ্যে আছি। এখন পর্যন্ত পুলিশ আসামিদের আটক করতেছে না। আমি পুলিশ সুপার মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

 

অভিযুক্ত ফারুকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং আমাদের প্রতিবেদককে বলেন আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।

 

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) চন্দন জানান, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও তার পরিবারের উপর জমির ফসল নষ্ট করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা করার ঘটনা ঘটেছে। আমরা ইতিমধ্যে মধ্যে ১ নম্বর আসামী আটক করেছি। বাকিদের ধরতে অভিযান চলতেছে।